১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতারে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ
ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর গ্রেফতারে সোস্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলমকে ডিবি পুলিশ কর্তৃক আটকের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেম ফেসবুকে বিভিন্ন মহলের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মনিরুল ইসলাম তাওহিদ নামে একজন তার ব্যবহারিক ফেইসবুকে পোস্ট করে লিখেন, মো. আলমগীর আলম চেয়ারম্যান কে কোম্পানীগঞ্জ থানা ও সিলেট থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরোও লিখেন, সাদা পাথর, বাঙ্কার, ধলাইব্রিজ রক্ষার আন্দোলন ও কোম্পানীগঞ্জবাসীর স্বার্থে সুনামগঞ্জী খেদাও আন্দোলন তার কন্ঠকে অবরোধ করেছে। তথাকথিত কথিত মামলা উনার জন্য ব্যাপার ছিল না। জালিমের জুলুম চিরস্থায়ী নয়। প্রতিহিংসা তার মানবসেবাকে আরোও বেগবান করবে। রাত যতই গভীর হয় ভোর ততই সন্নিকটে। সময়ের ব্যবধানে অচিরেই বেড়িয়ে আসবে জনতার মাঝে। এরই মধ্যে শত্রু মিত্র পরিচয় হয়ে গেছে।

জানা যায়, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দলোনে ছাত্র-জনতার উপর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলা ঠেকাতে মাঠে সাহসী ভূমিকা নিয়েছিলেন মো. আলমগীর আলম। সকল নির্যাতন সহ্য করেও আওয়ামী শাসনের বিরুদ্ধে ছিলো তার কঠোর প্রতিবাদ।

তার এই প্রতিবাদই শুধু শেষ নয়, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে কোম্পানীগঞ্জের বালি-পাথর লুটেরাদের টার্গেটে পরিণত হয়। উনি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণকে সাথে নিয়ে লুটপাট বন্ধে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেন। বালু খেকোরা ধলাই নদীর একমাত্র ব্রীজ ও থানা সদরের সাথে পূর্বপাড়ের একমাত্র সংযোগস্থল ধলাই ব্রীজের নিচ থেকে বালু উত্তোলন করায় ব্রীজটি অস্তিত্বের সংকটে পড়লে সেখানেও অত্র এলাকার জনগণ মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে এবং ধলাই ব্রীজ রক্ষা কমিটির আহবায়ক হওয়ায় বালুখেকোদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলেন।

কিন্তু বালু ও পাথর খেকোদের পথের কাঁটা হয়ে উঠায় ষড়যন্ত্র করে প্রশাসনকে প্রলুব্ধ করে ৫ আগস্ট এর পূর্বে আওয়ামী লীগ কর্তৃক দায়ের করা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাকে মধ্যরাতে গ্রেফতার করা একটি গভীর ষড়যন্ত্র।

তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২ নং পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ৮ নং ওয়ার্ডের টানা ২ বারের ইউপি সদস্যদের দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সিলেট জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বপালন করেন। তিনি নিজ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন জনপ্রতিনিধি।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পর্যটন স্পট সাদাপাথরে পাথর লুটপাটে গঠনায় যখর নড়েচেড় বসে প্রশাসন। ঠিক সেই মুহুর্তে বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ রাজনীতিবীদ ও জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতারের প্রশ্নই আসে না। এটি শুধু বিএনপির সুনামক্ষুন্ন করতে একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেন স্থানীয় রাজনীতিবীদরা। সিলেটের বিখ্যাত এই পর্যটন স্পটে পাথর লুটপাটে দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে যখন সমালোচলা চলছে তখন শুরু হয় প্রশাসনের উদ্ধার অভিযান। এই ঘটনাকে দামাচাপা দিতে এধরনের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।