১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

বাদেপাশায় মসজিদ ব্যাক্তির নামে নামকরণের চেষ্টা, ভুমিদাতা রিয়াজ উদ্দিনের বিবৃতি

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৬, ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ণ
বাদেপাশায় মসজিদ ব্যাক্তির নামে নামকরণের চেষ্টা, ভুমিদাতা রিয়াজ উদ্দিনের বিবৃতি

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নের বাদেপাশা গ্রামে ৫০ বছরের পুরাতন বাদেপাশা জামে মসজিদ ( পূর্ব নাম বাদেপাশা উত্তরহাটি পাঞ্জেগানা মসজিদ) এর নাম জোরপূর্বক ব্যক্তির নামে ” শেখ নিদাই পাঞ্জেগানা মসজিদ” নামে পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মসজিদের নাম যাতে কেউ পরিবর্তন করতে না পারেন সেই জন্য স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনায় মসজিদের ভুমি দাতা মোঃ লতিফুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। সত্ত্ব মামলা নং ৫৭/২০২৪ ইংরেজি।

এদিকে এই মসজিদের আরেক ভুমি দাতা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রিয়াজ উদ্দিন মসজিদের নামকরণ পরিবর্তনের বিপক্ষে বিবৃতি প্রদান করেছেন।

তিনি বলেন, আমার পরিবার আমার মায়ের মাগফেরাত কামনায় ১৯৯৬ সালে মৌখিক ভাবে মসজিদের নামে ২৩ শতক ভূমি দান করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি “বাদেপাশা জামে মসজিদ ” (পূর্ব নাম বাদেপাশা উত্তর হাটি পাঞ্জেগানা মসজিদ ) নামে ওয়াকফকৃত দলীল সম্পাদন করে দেন।

বিগত কিছু দিন থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র বাদেপাশা জামে মসজিদ ( পূর্ব নাম বাদেপাশা উত্তরহাটি পাঞ্জেগানা মসজিদ) এর নাম জোরপূর্বক একজন ব্যক্তির নাম “শেখ নিদাই চৌধুরী “নামে নামকরণ করার চেষ্টা করছে। যা শুনে আমি ও আমার পরিবার হতবাক হয়েছি। আমরা সবসময়ই ব্যক্তির নামে মসজিদের নামকরণ এর বিরোধীতা করে আসছি। মসজিদ আল্লার ঘর। কোন ব্যক্তির নামে মসজিদের নাম যুক্তিসঙ্গত নয়। এতে সমাজে বিশৃংখলা তৈরী হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাদেপাশা জামে মসজিদ নির্মাণের সময় প্রায় (০১) এক কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেক বার বার মসজিদের আয় ব্যায়ের হিসাব চাওয়া হলেও মসজিদ নির্মাণে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ হিসাব দিতে ব্যার্থ হন।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের মৌরশী সূত্রের সরবশেষ জরিপ এর দাগ নং- ৪৪৮,৪৫০,খতিয়ান নং-২০২ দাগ নং-৪৫৭, ৪৫৮,খতিয়ান নং-৪৪৮ ,৪৯১ দাগের ভূমি ১৯৫৬ সালের এস. এ. রেকর্ডের পূর্ব থেকেই আমি রিয়াজ উদ্দীন, খলিল আহমদ, হাজী শরিফ উদ্দিন, হেলাল উদ্দীন গংরা পারিবারিক কবরস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছি।

১৯৯৯৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আমার মাতা মৃত্যু বরণ করলে তার লাশ কবরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বক্তিগত খরছে একটি রাস্তা ও গেইট নির্মাণ করেন। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত এই রাস্তাটি গ্রামের সবাই ব্যবহার করে আসছেন। এমনকি আমার পরিবারের নিজ উদ্যোগে এই কবরস্থান উঁচু করার জন্য পূর্ব দিক থেকে মাটি উত্তোলন করে ভরাট করা হয়। কিন্তু বর্তমানে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ “শেখ নিদাই চৌধুরী “নামে মালিকানা দাবি করছেন। যেটা সম্পন্ন বে আইনি। প্রয়োজনে আমি এই বিষয়ে আইনি সহায়তা নেব।