নাইন ডেস্ক:
সিলেট নগরীর কাজিরবাজারের সুপারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হাসনের ম্যানেজার জয় ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর দক্ষিণ সুরমার তেতলি বাইপাস এলাকায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ একটি মোটরসাইকেল ও ছিনতাইকৃত ৮ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। এছাড়া শাহপরান থানা এলাকার হাসান নামের একজন ছিনতাইকারীকে আটক করা হয়েছে। ব্যবসায়ী ইসমাইল হাসন বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাজিরবাজারের সুপারি ব্যবসায়ী ইসমাইল হাসন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আনতে বন্ধু জুবেল ও ম্যানেজার জয়কে শুক্রবার সন্ধ্যার পর পাঠান। জুবেল ও জয় মোটরসাইকেলযোগে বাংলাবাজারের উদ্দেশে রওনা হন। চণ্ডীপুল অতিক্রম করে তেতলি বাইপাস রোডের দিকে গেলে দুইটি মোটরসাইকেলে চারজন দুর্বৃত্ত এসে তাদের গতিরোধ করে, মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা ৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ছিনতাইকারীরা তেমুখি বাইপাস সড়কের দিকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে ম্যানেজার জয় মালিক ইসমাইল হাসনকে অবগত করেন। ইসমাইল হাসন স্থানীয় লোকজন নিয়ে দ্রুত বরইকান্দি টেকনিক্যাল রোডের দিকে গেলে ছিনতাইকারীদের দুইটি মোটরসাইকেল ও টাকার ব্যাগসহ দেখতে পান। তখন ইসমাইল হাসনের চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে এক ছিনতাইকারীকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ৮ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে ব্যবসায়ী ইসমাইল হাসনের বন্ধু জুবেলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি পলাতক রয়েছেন এবং তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ব্যবসায়ী ইসমাইল হাসন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করে আমার বন্ধু জুবেল ও ম্যানেজার জয়কে টাকা দিয়ে পাঠিয়েছিলাম। জুবেল বিশ্বাসভঙ্গ করে এমন কাজ করবে, তা ভাবিনি। আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।