ঈদের পরদিন সিলেট নগরীর সকালটা শুরু হয়েছিল একটু অন্যরকম কোলাহলমুক্ত নিরব। অফিসমুখী মানুষের আনাগুনা ছিলো না। সকাল ১১টার দিকে নগরীর শেখঘাটের জিতু মিয়ার পয়েন্টে যেন থমকে যায় সব কিছু। দ্রুতগতির একটি ট্রাক হঠাৎ করেই একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয়, আর সেই রিকশায় ছিলেন ডা. রহিমা খানম জেসি(৩২)।
জেসি ছিলেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসক। দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা এই তরুণী প্রতিদিনের মতোই কর্মস্থলের পথে রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই পথই হলো তার জীবনের শেষ যাত্রা।
গুরুতর আহত অবস্থায় জেসিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তাকে বাঁচাতে, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিকাল ৩টার দিকে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জেসি।
নগরীতে নেমে আসে শোকের ছায়া। সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ স্থানীয় মানুষজন ট্রাক চালকের গ্রেফতারের দাবিতে শুরু করে গন সংযোগ ও প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয় আল্টিমেটাম।
অবশেষে জেসির মৃত্যুর ১১ দিন পর, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে ঘাতক ট্রাকচালক মো. আব্দুল কাদির (৩৯)-কে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে মোগলাবাজার থানার করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং বর্তমানে সিলেট শহরের বাদামবাগিচা এলাকার ৪০/২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালী থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করি এবং তাকে সাফল্যের সঙ্গে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।