১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শাহ আরেফিনে টিলা ‘ধ্বংসের হোতা’ বশর গ্রেপ্তার

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ণ
শাহ আরেফিনে টিলা ‘ধ্বংসের হোতা’ বশর গ্রেপ্তার

Manual4 Ad Code

ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহ আরেফিন (রঃ) এর টিলা ও মাজার খুড়ে পাথর তুলে ‘ধ্বংসের হোতা’ বশর মিয়া ওরফে বশর কোম্পানিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

Manual8 Ad Code

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিজ ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

Manual7 Ad Code

তিনি উপজেলার জালিয়ারপাড় গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।এসময় আব্দুল মালেক নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বৈশাখান্দী বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, রাত ১২টায় পুলিশ ও বিজিবিকে সাথে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে শাহ আরেফিন ধ্বংসের হোতা বশর মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় আব্দুল মালেক নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার বৈশাখান্দী বাহাদুরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর শুরু হয় শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর উত্তোলন। এসময় প্রায় ৭’শ বছরের পুরাতন শাহ আরেফিন (রঃ) এর মাজারে স্তুপ করে রাখা ২ কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। এর পর মাজারের শতবর্ষী গাছপালা কেটে নিয়ে সেখানে গর্ত করে পাথর উত্তোলন শুরু হয়। দীর্ঘ ১ বছর পাথর উত্তোলন করে বিলীন করা হয়েছে মাজার কবরস্থান ও খেলার মাঠ। আর এসবই হয়েছে বশর কোম্পানির নেতৃত্বে।

Manual2 Ad Code

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বশর কোম্পানি আগে থেকেই শাহ আরেফিন টিলা ধ্বংসের বেশ কয়েকটি মামলার আসামি রয়েছে। তাছাড়া অস্ত্র এবং পুলিশ এসল্ট মামলাও ছিল তার বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় খুব প্রভাবশালী হওয়াতে সহজে কেউ কথা বলতে চায় না। সেই সুবাধে তার ভাইদের দিয়ে তিনি শাহ আরেফিন টিলা ও মাজার ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন করান। তবে এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মাজার রক্ষাকারীদের সাথে তাদের মারামারি হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রতন শেখ জানান, বশর মিয়ার বিরুদ্ধে ৪টি নিয়মিত মামলা রয়েছে তাছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আব্দুল মালেককে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। তাদেরকে বিকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code