১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ইউএনও মিলটন চন্দ্র পালের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গোলাপগঞ্জ পৌর শহর!

admin
প্রকাশিত নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ
ইউএনও মিলটন চন্দ্র পালের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে গোলাপগঞ্জ পৌর শহর!

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্ট:

Manual7 Ad Code

জনবান্ধব ও আধুনিক গোলাপগঞ্জ পৌর শহর বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও মিলটন চন্দ্র পাল।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলটন চন্দ্র পাল পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পৌর শহরের আধুনিকায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা আজ একটি উন্নয়নমুখী আধুনিক পৌরসভায় রূপ পেয়েছে। তাঁর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা, পরিকল্পনা এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টায় পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এক নতুন মাত্রা লাভ করেছে। উপজেলা এবং পৌরবাসীর কাছে পুরো গোলাপগঞ্জ আজ নতুন রুপে উদ্ভাসিত হয়েছে।

সড়ক, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, জনসেবামূলক স্থাপনা নির্মাণসহ নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন পৌর এলাকার পরিচ্ছন্নতা ও পরিবেশ সুরক্ষায়। নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে তোলায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়।

তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনিক দক্ষতা ও কঠোর নজরদারির মাধ্যমে তিনি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং কর্মনিষ্ঠার ফলে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা একটি আধুনিক ও সুন্দর নগরীতে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৩ নভেম্বর গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মিলটন চন্দ্র পাল । যোগদানের পর থেকে তিনি সকলকে নিজের আপন মানুষ ভেবে কাজ করছেন এবং সেটা সবার চোখেও পরেছে। তিনি তার এই সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভেজালবিরোধী অভিযান, পরিবেশ রক্ষার অভিযান, অবৈধ বালু উত্তোলন, বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন।

তার মানবিক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের সাথে প্রশাসনের দূরত্ব অনেকটা কমে গেছে।

পৌরসভার সচেতন মহল মনে করছেন, মাঠ পর্যায়ে একজন সৎ, দক্ষ,পরিশ্রমি ও পরোপকারি মানুষ মিলটন চন্দ্র পাল । তিনি সততা দিয়ে উপজেলা ও পৌরবাসীর ভালবাসা জয় করেছেন।গোলাপগঞ্জ পৌরবাসীর আস্থা, ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে মিলটন চন্দ্র পাল উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিচ্ছেন, যা নিঃসন্দেহে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে পৌরবাসী মনে করছেন।

নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে সড়কবাতি স্থাপন করে পৌরসভাকে সত্যিকার অর্থে আলোকিত করেছেন।

রাতে পৌর এলাকার রাস্তাঘাট এখন ঝলমলে আলোয় ভরে উঠে, যা শুধু চলাচলের নিরাপত্তাই নিশ্চিত করছে না, বরং অপরাধ দমনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নাগরিকরা এখন নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারছেন। পৌর এলাকা আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার সরকারী এম সি একাডেমি স্কল ও কলেজের শেষ সীমানা থেকে ডাকবাংলো পর্যন্ত নষ্ট বাল্ব অপসারণ ও নতুন বাল্ব স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।

তিনি রাস্তার পাশের ঝোপেঝাড় সহ সরকারী ভূমিতে থাকা আবর্জনা অপসারন, রাস্তাঘাট সংস্কারে নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার গোলাপগঞ্জের এমসি একাডেমির লেকের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল।

Manual6 Ad Code

পৌর প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপি অর্থায়নে সর্বমোট ২১টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১,৫৯,০০,০০০ টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় গোলাপগঞ্জও ডেঙ্গু মশা ও অন্যান্য মশার বিস্তার রোধে নিয়মিত ছিটানো হয়েছে পেস্টিসাইট ও এডাল্টিসাইট। সড়কে দুর্ঘটনারোধে গোলাপগঞ্জ-জকিগঞ্জ রাস্তার উভয় পার্শ্বের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রেসপন্স এন্ড রিকভারী প্রজেক্ট হতে ৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকার জনগুরুত্বপূর্ণ মোট ১০টি উন্নয়নমূলক কাজের অনুমোদন পাওয়া গেছে শীঘ্রই সেগুলোর টেন্ডার আহ্বান করা হবে। পৌরসভার রাজস্ব তহবিল থেকেও করা হচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। এছাড়াও সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষে গোলাপগঞ্জে সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজের লেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। প্রায় এক যুগ পর পৌসভার উদ্যোগে লেকটি পরিস্কার করা হয়। প্রায় সপ্তাহব্যাপী এই পরিছন্ন কাজ করতে ১০-১২জন শ্রমিক কাজ করে।

Manual7 Ad Code

সরকারী এমসি একাডেমী স্কুল ও কলেজের এই লেকটি মাঝেমধ্যে পরিস্কার করলেও প্রায় এক যুগ থেকে পরিপূর্ণভাবে পরিস্কার করা হয়নি। এতে লেকের মধ্যে কচুরিপানা জমে থাকায় পানি ময়লায় বিবর্ন হয়ে যায়। অবশেষে লেকটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল।
পরিবেশ ও সৌন্দর্য পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক লেক দুটি সম্পূর্ণ পরিষ্কার করার ফলে এখন লেক দুটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফিরে এসেছে, যা এলাকাবাসীর জন্য এক স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সরকারী এমসি একাডেমি স্কুল ও কলেজের কলেজ শাখার প্রভাষক ভানুজ কান্তি ভট্টাচার্য, প্রভাষক মো. আলাল মিয়া, প্রভাষক কোহেলি পাল চৌধুরী ও ইউএনও কার্যালয়ের নাজির জনাব রোমান আহমদ নৌশাদ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলটন চন্দ্র পাল বলেন, পরিচ্ছন্ন শিক্ষাঙ্গন উন্নত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করে‌। পৌরসভার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কুলের লেকটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে। যাতে এই স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও আনন্দ উপভোগ করতে পরে। একটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও সবুজ গোলাপগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে পৌরসভার এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। গোলাপগঞ্জকে একটি জনবান্ধব উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে আমার সব রকম প্রচেষ্টা ছিলো, আছে এবং থাকবে।

Manual7 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code