কানাইঘাট সংবাদদাতা:
সিলেটের কানাইঘাটে আওয়ামী লীগ তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৪৮জন নেতার নাম উল্লেখ করে ও ৫০/৬০জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা লোকমান আহমদ।
তিনি উপজেলার কায়স্থগ্রামের হাজী সফিকুল হকের ছেলে। জানা যায়, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর আসামাত্রই সারাদেশের ন্যায় কানাইঘাটে আনন্দ উল্লাস করে ছাত্রজনতা। এসময় জমিয়তে নেতা লোকমান আহমদের নেতৃত্বে শোকরানা মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসা শেষে কানাইঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং কানাইঘাট থানা ০৩(১২)২৪।
মামলায় এজাহারভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, ১। রহমত উল্লাহ (৩৮) (আওয়ামীলীগ কর্মী), পিতা মৃত মুশাহিদ আলী, ২। কুদরত উল্লাহ (৫০) (যুবলীগ কর্মী), ৩। ফয়ছাল (৩৩) (আওয়ামীলীগ কর্মী), ৪। রশিদ আহমদ (৫৮) (আওয়ামীলীগ নেতা), পিতা হাজী সমসুল হক, ৫। মঈন উদ্দিন (৩২) (ছাত্রলীগ কর্মী), পিতা শওকত আলী, ৬। ময়নুল হক (৩০) (ছাত্রলীগ কর্মী), পিতা সফাই মিয়া, তাওহিদ আহমদ (৩৫) (যুবলীগ নেতা), পিতা রফিক আহমদ, ৮। বাহার উদ্দিন (৩১), পিতা আব্দুল লতিফ, ৯। সুনা মিয়া (২৮) (ছাত্রলীগ কর্মী), পিতা মকরব আলী, সর্ব সাকিন-কায়স্থগ্রাম, ১০। মামধুদুল করিম চৌধুরী (২১) (যুবলীগ নেতা), পিতা ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সাকিন-মিরমাটি, উপর ঝিঙ্গাবাড়ী, ১১। নজরুল (৩৮) (আওয়ামীলীগ কর্মী), পিতা জুনু মিয়া, সাকিন-সুনাতনপুজি, ১২। ইয়াছিন (৪০) (আওয়ামীলীগ নেতা), পিতা আব্দুস শুকুর, সাফিন-বীরদল ছোটফৌদ, ১৩। তাজ উদ্দিন (৫২) (আওয়ামীলীগ নেতা), পিতা মৃত মুবেশ্বর আলী, ১৪। সেলিম উদ্দিন (৪২), (যুবলীগ কর্মী), পিতা মৃত তফজ্জুল আলী, সাকিন-কুওড়ঘড়ি, ১৫। নিলাল আহমদ (৩৪) (আওয়ামীলীগ নেতা), পিতা মৃত নুরুল হক, সাকিন-বিরদল লক্ষীপুর, সহ ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি রাখা হয়েছে এই মামলায়।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।