১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

ফলজ, বনজ, ঔষধী গাছ রোপণে মাধ্যমে জালালাবাদ রোটারি ক্লাবের বছরব্যাপী কর্মসূচি শুরু

admin
প্রকাশিত জুলাই ২, ২০২৫, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ফলজ, বনজ, ঔষধী গাছ রোপণে মাধ্যমে জালালাবাদ রোটারি ক্লাবের বছরব্যাপী কর্মসূচি শুরু

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মঙ্গলবার (১লা জুলাই) থেকে রোটারী ক্লাব অব জালালাবাদ-এর বছরব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম আর চৌধুরী আবাসিক এলাকা, বটেশ্বর, জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট, সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়। এবং একই দিন দুপুরে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ স্কুল, দক্ষিণ সুরমার দাউদপুর এ সোসাইটি ফর এডভান্সমেন্ট অব রুরাল এরিয়াস (সারা) ও জালালাবাদ এর আয়োজনে বৃক্ষরোপ ও সিজননাল ফল স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। নতুন রোটাবর্ষ ২০২৫-২৬ এর প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা রোটারিয়ান সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল এবং সেক্রেটারি রোটারিয়ান মিজানুর রহমান-এর নেতৃত্বে সারা বছর জুড়েই এ কর্মসূচি চলবে। এসময় ফলজ, বনজ, ঔষধীসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পরবর্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন পাস্ট ডিস্টিক গভর্নর ডাঃ মন্জুরুল হক চৌধুরীর, রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ডি ৬৫ এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর পিডিজি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর, পিপি নীরেশ চন্দ দাস, পিপি হানিফ মোহাম্মদ, পিপি এডভোকেট মোজাক্কির হোসেন কামালী, পিপি আলী আশরাফ চৌধুরী খালেদ, পিপি মোহাম্মাদ মন্জুর আল বাছেত, সিনিয়র রোটারিয়ান জামিল আহমদ চৌধুরী , ক্লাব ভাইস প্রেসিডেন্ট আখতার আহমদ, ভোকেশনাল ডাইরেক্টর মোঃ আবুল মনসুর আহমদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোঃ জুনেদ আহমদ, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস ডিরেক্টর রোটারিয়ান মাছুমা চৌধুরী সহ ক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পাস্ট ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ডাঃ মন্জুরুল হক চৌধুরী বলেন, প্রকৃতি রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। রোটারি ক্লাব অফ জালালাবাদ প্রতিবারের মতো এ বছরও যে বড় পরিসরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। সমাজে সব শ্রেণির মানুষকে এ ধরনের উদ্যোগে যুক্ত হতে হবে, তবেই পরিবেশ রক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।

পিডিজি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এম আতাউর রহমান পীর বলেন, রোটারিয়ানরা সবসময় মানবকল্যাণে কাজ করে আসছে। বৃক্ষরোপণ শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে না, এটি মানুষের মনে মানবিক মূল্যবোধও জাগ্রত করে। আমি আশা করি, বছরব্যাপী এমন কর্মসূচির মাধ্যমে রোটারি ক্লাব অফ জালালাবাদ পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি মানুষকে পুষ্টি সচেতন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।