১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিকসড়ক: ফুটপাত বনজঙ্গলে পরিণত, নজর নেই সড়ক বিভাগের

admin
প্রকাশিত জুলাই ২৩, ২০২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ণ
সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিকসড়ক: ফুটপাত বনজঙ্গলে পরিণত, নজর নেই সড়ক বিভাগের

দেলোয়ার হোসেন মাহমুদ:

সিলেটে শহরে প্রবেশের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম সিলেট-জকিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক। পাঁচটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। তবে সড়কের দুই পাশে ফুটপাত থাকলেও তা এখন আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। কারণ ফুটপাত দখল করে নিয়েছে ঝোপঝাড় আর আগাছা। এতে বাধ্য হয়ে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ সিলেট শহর থেকে কয়েক হাজার যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু ফুটপাত জুড়ে জন্মানো আগাছা ও ঝোপঝাড়ের কারণে সড়কটি ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এদিকে নজর নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের!

স্থানীয়রা বলছেন, মহাসড়কের দুপাশে অবস্থিত ফুটপাতগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। আগাছা ও ঝোপঝাড়ে ঢেকে গেছে চলাচলের পথ। কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে, ছোট-বড় গাছগাছালি। বিশেষ করে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রানাপিং বাজার থেকে কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড (৪নং কূপ) পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কের ফুটপাতের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। ফুটপাত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কার না করায় বনজঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। এতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে যানবাহন চলাচলেও সমস্যা হয়।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত জঙ্গল ও আগাছা পরিষ্কার করে ফুটপাত পুনরুদ্ধার না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই নজর দেওয়া জরুরি।

স্থানীয় পথচারী এম এ কাদির বলেন, ‘রাস্তার পাশে ঝোপঝাড় থাকায় হাঁটার কোনো উপায় নেই। বাধ্য হয়ে আমাদের মূল রাস্তার বর্ডার লাইন দিয়ে চলতে হয়। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনার আশঙ্কা সব সময়ই থাকে।’

রানাপিং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র তানভির হাসান বলেন, ‘কলেজে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে হাঁটতে অনেক সময় সাপ কিংবা বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়ও থাকে। তাই বাধ্য হয়ে মূল সড়ক দিয়ে হাঁটতে হয়। যা অত্যান্ত ঝুঁকিপুর্ন।

গোলাপগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মিজান আহমদ বলেন, ‘জঙ্গল পরিষ্কার করে চলাচলের উপযোগী ফুটপাত ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

গোলাপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুলতান আহমদ মজনু বলেন, সড়কের দুই পাশ ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে। আমি মোটরসাইকেল নিয়ে যাতায়াত করি গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হয়। সিলেট জকিগঞ্জ খুবই ব্যস্ততম সড়ক এভাবে যদি ঝোপঝাড় তাকে তাহলে দুর্ঘটনার সম্ভবনা থেকেই যায়,কর্তৃপক্ষের সুনজর দেয়া জরুরি বলে মনে করছি।

বাসচালক রুবেল আহমদ বলেন, ‘গাড়ি পাশাপাশি ক্রস করতে গেলে ঝোপঝাড় ঘেঁষে চলতে হয়। ওই সময় বন-জঙ্গলের কারণে ফুটপাত কি না বোঝা মুশকিল। ঝোপঝাড় পরিষ্কার থাকলে ঝুঁকি থাকে না।’ অনেক দুর দৃষ্টিপাত করা যায়।

এ বিষয়ে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, ‘ফুটপাতের অবস্থা সম্পর্কে আমি অবগত। লোক লাগিয়ে ছিলাম কিন্তু পোকা মাকড়ের সমস্যায় লোক কাজ করতে পারে না মেশিন জোগাড়ের চেষ্টা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সড়কের দুপাশের বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযুক্ত করে দেওয়া হবে।’