১৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১লা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

গোলাপগঞ্জে ইংল্যান্ড প্রবাসী যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকি

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ণ
গোলাপগঞ্জে ইংল্যান্ড প্রবাসী যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকি

গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার শেখপুর গ্রামে ইংল্যান্ড প্রবাসী ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সদস্য শাফিনা আক্তার ফারিহা জান্নােতের বাড়ি ও একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর, লুটপাট এবং হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের বরাতে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই বিএনপি-জামাতপন্থী সন্ত্রাসীরা দেশজুড়ে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে সশস্ত্র অবস্থায় একদল সন্ত্রাসী শাফিনা আক্তারের বাড়িতে হামলা চালায়।

ঘটনার সময় শাফিনা আক্তার বাড়িতে না থাকায় হামলাকারীরা ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রীসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, তার মালিকানাধীন ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলার সময় হামলাকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল এবং তারা উচ্চস্বরে শাফিনা আক্তারকে খুঁজতে থাকে।

শাফিনা আক্তারের মা জানান, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণেই এই ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে। বর্তমানে তারা নিরাপত্তার অভাবে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

ঘটনার আরও ভয়াবহ দিক হলো—জানা গেছে, স্থানীয় জামায়াতপন্থী এক ক্যাডার শাফিনা আক্তারকে জোরপূর্বক বিয়ে করার হুমকি দিয়েছে। একইভাবে ফারিহা জান্নাত কেও জোরপূর্বক বিয়ের করার হুমকি দিচ্ছে । এই সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে বলছে, “ওদের আমাদের হাতে তুলে দিলে আর সমস্যা হবে না, বিএনপি ও জামাত ক্যাডার সন্ত্রাসীদের কথা না শুনলে দেশেই থাকতে দেবো না—মেরে ফেলবো।”

সাফিনা আক্তার ফারিহা জান্নাতের চাচাতো ভাই মাহিন আহমেদ এই বিষয়ে বারবার স্থানীয় থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে ভয় দেখায় এবং বলে, “যা বলছে, মেনে নাও। না হলে তোমাকেও মামলায় জড়াবো।” বর্তমানে মাহিন আহমেদসহ তার পরিবারও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এলাকাবাসী বলছে, এভাবে প্রশাসনের নিরবতা এবং সন্ত্রাসীদের দাপটে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

এ ধরনের ঘটনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার জন্য চরম হুমকি। রাষ্ট্র ও প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।