ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কালিবাড়িবাজার এলাকায় ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নবদ্বীপ বৈদ্য (৫৫) নামের এক দর্জির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নবদ্বীপ বৈদ্য উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের কালিবাড়িবাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি টেইলার্সের দোকান পরিচালনা করছেন।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার বিয়ানীবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ একটি নিয়মিত মামলা রুজু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা সুনামগঞ্জ জেলায় হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে বিয়ানীবাজারের মোল্লাপুর ইউনিয়নের কালিবাড়িবাজার এলাকায় বসবাস করছেন।
জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের সময় স্থানীয় কালিবাড়িবাজারে নবদ্বীপ বৈদ্যের দোকানে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় দোকানে কিশোরী ও নবদ্বীপ বৈদ্যকে সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তারা ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন এবং কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে তার সাথে খারাপ কিছু ঘটার কথা জানায়। প্রাথমিকভাবে বাজার কমিটি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে এবং অভিযোগ ওঠে যে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্দ্বীপ পাল বলেন, আমরা ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। ঘটনাটি সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ তখন ছিল না।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় না হওয়ায় প্রথমে ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেয়েকে প্রথমে বিয়ানীবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) নিয়ে যান। তিনি বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, তার বিচার চাই। আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি (তদন্ত) ছবেদ আলী বলেন, আমরা কিশোরী যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করেছি। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।