সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা এস এম নুরুল হুদা সালেহ বলেছেন, হোটেল শ্রমিকরা রাত দিন পরিশ্রম করার পরও তারা তাদের ন্যায্য মজুরি পাননা। কিছু বললেই মালিকপক্ষ তাদের উপর নির্যাতন করে। দ্রব্যমূল্যের বাজার লাগামহীন উর্ধগতির কারণে শ্রমিকরা যা বেতন পান তা দিয়ে পরিবারের খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি জানান। স্বৈরাচারি শাষক ও শোষকের অমানবিক শোষন নির্যাতনের দূষণে জন জীবন আজ বিপর্যস্ত, খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। শ্রমজীবি মানুষ দিনের পর দিন অর্ধাহারে অনাহারে থেকে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। নজিরবীহিন দূর্নীতির বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণির নেত্রীত্বে লাগাতার গণ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই চাকুরীর নিশ্চয়তা, জীবনের নিরাপত্তা, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, কাজের সুষ্ট পরিবেশ, স্বাস্থ্য সম্মত স্টাফ কোয়ার্টার, পুষ্টিযুক্ত খাবার, ৮ঘন্টা কাজ, অতিরিক্ত কাজের দিগুন মজুরী, সাপ্তাহিক ছুটি, বিশেষ ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি, অর্জিত ছুটি, অসূস্থতা জনিত ছুটি, উৎসব ছুটি, দুই ঈদ ও পূজার সময় বেতন সমপরিমাণ দুটি উৎসব বোনাস প্রদান ও বকেয়া পাওনা সহ মাসের ৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণ বেতন পরিশোধ করা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় নগরীর তালতলাস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: নং চট্ট- ১৯৩৩) এর আওতাধীন সিলেট মহানগর কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি এম সফর আলী খাঁন এর সভাপতিত্বে ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মো. জমির আলীর পরিচালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলার উপদেষ্ঠা নুরুল ইসলাম মকবুল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা মটর ওয়ার্কশপ মেকানিক্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবলু হোসেন হৃদয়, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মিনহাজ আহমেদ, সিলেট জেলা হোটেল, মিষ্টি, বেকারী ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আজহারুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. ইউসুফ জামিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. উজ্জল, মহানগর কমিটির অর্থ সম্পাদক আল আমিন, এয়ারপোর্ট থানা কমিটির উপদেষ্টা মো. রাজু মিয়া, সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সেজুওয়ান, দক্ষিণ সুরমা থানা কমিটির সহ সভাপতি মো. শিরিন মিয়া, শাহপরাণ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাজ্জাক মিয়া, গোলাপগঞ্জ থানা কমিটির সহ সভাপতি মো. অনিক মিয়া, প্রচার সম্পাদক মো. রুবেল মিয়া, বিশ্বনাথ থানা কমিটির প্রচার সম্পাদক মো. ইউনুস আলী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মারজান, রায়হান, রুবেল, সুমন, বাচ্চু মিয়া, কুদ্দুস, আক্কাস, হৃদয়, আনোয়ার হোসেন, মো. দিলওয়ার মিয়া, আফজাল মিয়া, সালাম মিয়া, মুজাম্মেল আলী, রেজা মিয়া, মো. জিয়া, মো. মুমিন, মো. জহির, মো. রাজন, দিপক কুমার রায়, রবিন দা, জাহান, সুমন, আরিফ, কুদ্দুস, মো. রুবেল, রুবেল মিয়া, মো. নূর মিয়া, মো. সাব্বির প্রমুখ।