ডেস্ক রিপোর্ট::
লাইভ শো চলাকালে ওরকার আক্রমণে তিমি প্রশিক্ষক জেসিকা র্যাডক্লিফ নিহত হয়েছেন—এমন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। ভিডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি এবং জেসিকা র্যাডক্লিফ নামে কারও অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সরকারি নথি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রতিবেদন কিংবা কোনো বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমেও এ ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় কোনো আনুষ্ঠানিক নথি বা নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকেও তথ্য মেলেনি বলে নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসসহ একাধিক মিডিয়া।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিডিওটিতে এআই-নির্ভর কণ্ঠস্বর ও পুরোনো আর্কাইভ ফুটেজ ব্যবহার করে বাস্তব ঘটনার ভান সৃষ্টি করা হয়েছে। ভিডিওটিতে আরও দাবি করা হয়, আক্রমণটি ‘প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্ক’-এ ঘটনা ঘটে। পানিতে মাসিক রক্ত থাকার কারণে তিমিটি উত্তেজিত হয়ে আক্রমণ করে তবে এটি বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন এবং প্রমাণহীন। । সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিথ্যা গল্পে আবেগ বাড়াতে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর উপাদান প্রায়ই যোগ করা হয়।
যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণ মনগড়া কিন্তু ভিডিওটিতে কিছু বাস্তব ঘটনার রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত বাস্তব ঘটনায় ২০০৯ সালে কানারি দ্বীপপুঞ্জের লোরো পার্কে ২৯ বছর বয়সী ওরকা প্রশিক্ষক আলেক্সিস মার্টিনেজ ‘কেটো’ নামের একটি তিমির আঘাতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও আঘাতে মারা যান। আর ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিওয়ার্ল্ড অরল্যান্ডোতে ৩৬ বছর বয়সী ডন ব্রানচো ‘টিলিকাম’ নামের ওরকার টেনে পানির নিচে ডুবিয়ে হত্যার শিকার হন এটি পরবর্তীতে ব্ল্যাকফিশ প্রামাণ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়।