১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সিলেটে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পুনঃস্থাপনের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে গণদাবী ফোরামের স্মারকলিপি

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১৬, ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ণ
সিলেটে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পুনঃস্থাপনের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে গণদাবী ফোরামের স্মারকলিপি

বাংলাদেশের আধ্যাত্বিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী বিভাগীয় শহর পূণ্যভুমি সিলেটে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী বেঞ্চ পুনঃস্থাপন ও প্রতিষ্ঠা সহ সিলেট বিভাগের বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ ৩১ দফা দাবীতে সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম এর পক্ষ থেকে সিলেটে সফররত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ এর হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউসে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন সিলেট বিভাগ গনদাবী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ এডভোকেট।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি, সিলেট জেলা বার এর সিনিয়র আইনজীবী জনাব বদরুল আহমদ চৌধুরী এডভোকেট, ফোরামের কোষাধ্যক্ষ শরীফুল হুদা চৌধুরী এডভোকেট।

এছাড়াও জেলা বিভাগীয় প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ, জেলা জজশীপের মাননীয় বিচারকবৃন্দ, সিলেটের পিপি, জিপি, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ প্রিন্ট ও ইক্টেট্রানিকস মিডিয়ার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়- সিলেট বিভাগের বিচার প্রার্থী ভুক্তভোগী জনগণের দুঃখ ও দুর্দশা লাঘবের জন্য বাংলাদেশের আধ্যাত্বিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী বিভাগীয় শহর পূণ্যভূমি সিলেটে অবিলম্বে ‘‘হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ স্থায়ী বেঞ্চ’’ পুণঃস্থাপন ও প্রতিষ্ঠার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ১৭টি থানা নিয়ে গঠিত সিলেট জেলা জজ আদালতে অতিরিক্ত একটি “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল” আদালত স্থাপন ও প্রতিষ্ঠার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সিলেট মহানগর এলাকার জন্য একটি “মহানগর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল” আদালত স্থাপন ও প্রতিষ্ঠার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিভাগীয় শহর সিলেটে “বিভাগীয় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আদালত’’, ‘‘ড্রাগ কোর্ট’’, “ফুড কোর্ট বা খাদ্য আদালত”, “নৌ আদালত”, “কোম্পানী আদালত”, “বানিজ্যিক আদালত” স্থাপন ও প্রতিষ্টার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ‘সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত’, ‘চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত’, ‘অর্থ ঋণ আদালত’, ‘পরিবেশ আদালত’, ‘নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত’, ‘শিশু আদালত’, ‘মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত’, ‘বিভাগীয় স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত’, ‘বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালত’, ‘বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত’, ‘জন নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত, অস্ত্র ও বিষ্ফোরক ট্রাইবুন্যাল জজ আদালত’ ও ‘সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল জজ আদালত’ এর স্থায়ী ভবন নির্মাণ ও আধুনিক অবকাঠামোগত সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অবিলম্বে সিলেট জজ কোর্ট প্রাঙ্গনে “বিদ্যুৎ আদালত” ও “শ্রম আদালত” স্থানান্তরের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা। অবিলম্বে সিলেট বিভাগের সকল বিচার আদালতে শূন্য úদে বিচারক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সিলেট বিভাগের সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের আবাসিক ভবন নির্মাণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাংলাদেশের সকল জেলা ও মহানগর আদালত সহ সকল বিচার আদালতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগকালে নিজ নিজ জেলা ও মহানগরের স্থায়ী অধিবাসীদের মধ্য থেকে নিয়োগ করার বাধ্যবাধকতা আরোপের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ভূমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা দ্রুত হ্রাসকল্পে বাংলাদেশের সকল অফিস ও আদালতে “স্বত্ব বা মালিকানা যার জমি বা সম্পত্তি তার” এই নীতি অবলম্বন করে সঠিক মালিকানার ভিত্তিতে সকল স্থর ও পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কিংবা বিচার কার্য্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ফৌজদারী মামলা হ্রাস ও দ্রুত নিস্পত্তিকল্পে ফৌজদারী কার্য্যবিধির ২৪১ ও ২৬৫ ধারায় বাদী ও আসামীপক্ষের বক্তব্য ও বক্তব্যের স্বপক্ষীয় কাগজাদি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আওতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। অহেতুক ফৌজদারী মামলা দায়ের পরিচালনা ও বিচার প্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবকল্পে যে কোন ফৌজদারী মামলা তদন্তকালে দুইপক্ষের বক্তব্য ও স্বপক্ষীয় স্বাক্ষ্য গ্রহণ এবং ফৌজদারী কার্য্যবিধির ১৬১ ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রেকর্ড বা স্বাক্ষ্য প্রদানকারী ব্যক্তি কর্তৃক স্ব স্ব জবানবন্দি স্বাক্ষরিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দেওয়ানী মোকদ্দমা হ্রাস ও দ্রুত নিষ্পত্তিকল্পে দেওয়ানী কার্য্যবিধির ৭নং আদেশের ১১নং বিধি প্রয়োগের আওতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সকল দেওয়ানী, ফৌজদারী মোকদ্দমা স্বচ্ছতার সহিত দ্রুত নিষ্পত্তির স্বার্থে ও হিতার্থে আধুনিক পদ্ধতিতে ধারনকৃত আলোকচিত্র, স্থিরচিত্র, ভিডিওচিত্রকে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহন করার এবং ফৌজদারী মামলার তদন্ত কালে প্রনিত জব্দ তালিকায় উভয়পক্ষের মনোনিত ব্যাক্তি অথবা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাক্ষ্য গ্রহন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা। ফৌজদারী মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিকল্পে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল সার্টিফিকেট, পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট, ডি.এন.এ টেষ্ট রিপোর্ট, হস্তরেখা ও অঙ্গুলাংক বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট, সাইবার ক্রাইম মামলার বিশেষজ্ঞ রিপোর্ট দ্রুত প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা। নারী নির্যাতন মামলার আবশ্যকীয় মেডিকেল টেষ্ট বা পরিক্ষা নিরীক্ষা ও নারীর লাশ পোষ্টমর্টেম কার্য্যক্রম নারী/মহিলা ডাক্তার দ্বারা সম্পন্ন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা। উপনিবেশিক শাসন আমলে প্রনীত বিদ্যমান কারা আইন ও বিধি সংশোধন অথবা নতুন ভাবে প্রনয়ন করে যোগউপযোগী করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা। প্রচলিত আইনে যে সব দেওয়ানী, ফৌজদারী কিংবা রীট মামলা দায়ের কালে কিংবা যে সব দরখাস্তের সহিত হলফনামা প্রদানের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে বিচার নিষ্পত্তি কালে কিংবা আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণকালে এইরূপ হলফনামা কোনরূপ প্রয়োজন বা আবশ্যকতা না থাকায় বিচারপ্রার্থীগণকে অহেতুক ক্ষতি ও হয়রানীর হাত হইতে রক্ষা এবং আদালত প্রাঙ্গঁনের অনিয়ম দূর্নিতী প্রতিরোধ কল্পে যে সকল আরজি আবেদন বা আপত্তির সহিত হলফনামা প্রদানে বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে উহা রদ রহিত ও প্রত্যাহার করে হলফনামার পরিবর্তে পক্ষগণ কর্তৃক ঘোষণার মাধ্যমে দাখিল ও নিযুক্ত আইনজীবি কর্তৃক সত্যায়িত করার বিধান চালু করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আধুনিক অনলাইন বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিচার কার্য্যক্রম সুষ্ঠ সুন্দর ও সঠিক ভাবে দ্রুত পরিচালনার স্বার্থে ও হিতার্থে আদালত চলাকালীন সময়ে সকল আদালত প্রাঙ্গনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আধুনিক অনলাইন বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিচার কার্য্যক্রম সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে দ্রুত পরিচালনার স্বার্থে হিতার্থে সকল আদালত প্রাঙ্গনে ফ্রি ওয়াই-ফাই চালু করা এবং মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক প্রাপ্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থী জনগণের হয়রানী ও দুঃখ দূর্দশা লাঘবকল্পে আদালত প্রাঙ্গনে বিদ্যমান বহুতলা ভবনে উঠানামার নিমিত্তে মান সম্মত আধুনিক একাধিক বড় লিফট স্থাপন ও অফিস চলাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক চালু রাখার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আইনজীবি ও বিচারপ্রার্থী জনগণের হয়রানী ও দুঃখ দূর্দশা লাঘব ও আদালতের কার্য্যক্রম সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে সার্বক্ষণিক পরিচালনার সুবিধার্থে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধকালীন সময়ে সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালে উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ জেনারেটরের অথবা সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ও বাংলাদেশের সকল আদালতে মামলা মোকদ্দমা হ্রাসকল্পে যে সকল অফিসের (ভূমি রেকর্ড প্রণয়ন ও সংরক্ষণ অর্থ্যাৎ সেটেলমেন্ট জরিপ, নামজারী ও ভূমি রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত) কার্য্যক্রমের অনিয়ম অব্যবস্থাপনা অস্বচ্ছতার কারণে দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলার উদ্ভব হয় সেই সকল অফিসের কার্য্যক্রমে বিচার বিভাগ বা সর্বোচ্চ আদালতে নিয়ন্ত্রন/তদারকি বা নজরদারি বৃদ্ধি করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মহান একুশের ভাষা শহীদদের স্মৃতি ও আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচার আদালত সুú্রীম কোর্টের আúীল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে ইংরেজী ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষায় মামলা দায়ের ও পরিচালনা সংক্রান্ত সকল কার্য্যক্রম পরিচালনার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাংলাদেশের আইনজীবিদের অধিকার ও পেশাগত মান মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুরক্ষার নিমিত্তে ১৮৭৯ইং সনের লিগ্যাল প্যাক্টিসনার্স এ্যাক্ট (১৮৭৯ইং সনের ১৮নং আইন) রদ রহিত কিংবা সংশোধনক্রমে যোগউপযোগী নুতন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাংলাদেশের সকল আদালত, বিচারক ও আদালত প্রাঙ্গঁনে আগত বিচার প্রার্থী জনগনের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত স্বতন্ত্র “জুডিশিয়্যাল পুলিশ বা কোর্ট পুলিশ” বাহিনী গঠন করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা। বাংলাদেশের সকল আদালত প্রাঙ্গঁন, আদালতের বিচারক কর্মকর্তা কর্মচারী ও আদালত প্রাঙ্গঁনে আগত বিচার প্রার্থী জনগনের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ও হিতার্থে সকল আদালত প্রাঙ্গঁন আধুনিক সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা। উপনিবেষিক আমলে প্রনিত রেকর্ড ম্যানুয়েল ও রেকর্ড সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে সকল অফিস, আদালত ও কার্যালয় হইতে নিজ নিজ অফিস বা আদালতের কার্য্যক্রমের জাবেদা প্রদান ও প্রাপ্তি বিষয়টি সুনিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সকল বিচার আদালতের কার্য্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রতিটি আদালত ও ট্রাইব্যুনালের নথির জাবেদা নকল দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে সংশ্লিষ্ট মামলার পক্ষগণের নিকট হইতে আদেশনামা ব্যতীত অপরাপর সকল নথির টাইপ কপি কিংবা পেন ড্রাইভ এর মাধ্যমে টাইপ কপি গ্রহণ করে উহা নকলের ষ্ট্যাম্প বা ফলিতে প্রিন্ট করে অথবা পক্ষগণের নিকট হইতে প্রিন্ট কপি গ্রহণ করে রেকর্ডের সহিত কম্পেয়ার করে দ্রুত জাবেদা নকল প্রদান ও প্রাপ্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সরকার কর্তৃক বিক্রিত কার্টিজ পেপার সরবরাহের স্বল্পতা, দূষ্প্রাপ্যতা কারণে সর্বদা উর্দ্ধমূল্য থাকায় উহা রোধ ও বিচার প্রার্থী জনগনকে ক্ষতি ও হয়রানীর হাত হইতে রক্ষাকল্পে কার্টিজ পেপারের পরিবর্তে অফসেট পেপার বা সবুজ গর্দা বা বার কর্তৃক বিক্রিত গর্দায় বা কাগজে সকল আদালতে সকল আবেদন নিবেদন গ্রহণ ও ব্যবহারের বিষয়টি সুনিশ্চিত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা সহ সকল অফিস ও বিচার আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যবহৃত ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প, আটাল ষ্ট্যাম্প, রেভিনিউ ষ্ট্যাম্প, কোর্ট ফি, কার্টিস পেপার, নকলের ফলি সরবরাহ বৃদ্ধি ও প্রাপ্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করা এবং আধুনিক ডিজিটার পদ্ধতি অর্থ্যাৎ বিকাশের মাধ্যমে অনলাইনে কোর্ট ফির টাকা গ্রহন ও পরিশোধের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।