ডেস্ক রিপোর্ট::
জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলায় আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের করা জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে আসামিপক্ষের সময় চাওয়ায় নতুন তারিখ দেওয়া হয়।
গত ১১ আগস্ট খায়রুল হকের পক্ষে করা আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত কক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। ওইদিন আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিল।
মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও জামিন চেয়ে গত ৭ আগস্ট খায়রুল হক আবেদন করেন। ১১ আগস্ট কার্যতালিকায় আবেদনটি ওঠে। বিকেলে শুনানি শুরুর আগে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে আদালত শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন নির্ধারন করেন।
ওই শুনানিতে খায়রুল হকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, সাবেক বিচারপতি মনসুরুল হক চৌধুরী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নাসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহম্মেদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুমের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় খায়রুল হককেও আসামি করা হয়।
গত ২৪ জুলাই ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই দিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আরেক মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ছাড়া বিচারক হিসেবে জালিয়াতি ও বিদ্বেষমূলক রায় দেওয়ার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।