১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল শেখ হাসিনার নামে ‘চিরকুট’

admin
প্রকাশিত আগস্ট ৩০, ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ণ
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল শেখ হাসিনার নামে ‘চিরকুট’

Manual2 Ad Code

ডেস্ক রিপোর্ট ::
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে বেশ কিছু চিরকুট পাওয়া গেছে। এবার ৪ মাস ১৭ দিন পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে মিলেছে রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার। মনোবাসনা পূর্ণ করতে অনেকে টাকার সঙ্গে বিভিন্ন চিরকুট ফেলেছেন দানবাক্সে। সেসব চিরকুট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

Manual6 Ad Code

দানবাক্সে ফেলা একটি চিরকুটে নামপরিচয়হীন একজন লিখেছেন—‘ডাইনি হাসিনাকে তার কর্মের শাস্তি না দেখা পর্যন্ত আমাকে বাঁচিয়ে রেখ আল্লাহ। অনেক আলেমকে কষ্ট দিছে। আমার প্রিয় সাঈদীকে অনেক অত্যাচার করছে। হে আল্লাহ, আমার প্রিয় বাংলাদেশে একজন ওমর (রা.) এর মতো শাসক পাঠাও।’

Manual6 Ad Code

আরেকটি চিরকুটে এক নারী লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার স্বামী মো. জসিমকে পাগলা মসজিদের ওসিলাতে একটি ভালো চাকরির ব্যবস্থা করে দিন। আপনি আমার স্বামীকে হেফাজত রাখুন। উনার ওসিলাতে আপনি আমাদের রিযিকের ব্যবস্থা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি পাগলা বাবার ওসিলাতে চাকরির ব্যবস্থা করে দিন, আমিন।’

Manual1 Ad Code

আরেকটি চিরকুটে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘আল্লাহ, আমি যেন একটা মানসম্মত নম্বর পাই। একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ, আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।’

Manual8 Ad Code

আরেক চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আল্লাহ, নাজমুলকে সারা জীবনের জন্য আমার করে দেন। আল্লাহ, আপনার কাছে নাজমুলকে আমার জামাই হিসেবে চাই। আল্লাহ, আমার আশা পূরণ করুন।’

এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। দানবাক্সে এবার রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ৫০০ জনের একটি দল এ টাকা গণনায় কাজ করেন।

এ সময় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code